আমাদের মাথার ত্বকের অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে খুশকি। এই সমস্যায় নারী-পুরুষ সমানভাবে ভোগেন।মাথায় চুলকানি, অতিরিক্ত চুল পড়া সহ আরো নতুন ভোগান্তির শুরু হয় এই খুশকির জন্য, অনেকের আবার ব্রণের সমস্যাও দেখা দেয়। কিন্তু চাইলেই আমরা এই সমস্যা থেকে আমাদের মাথার ত্বক এবং চুলকে রক্ষা করতে পারি। তার জন্য আমাদের জানা প্রয়োজন খুশকি আসলে কি? খুশকি কেন হয়?
খুশকি কি?
স্ক্যাল্পে ছোট ছোট সাদা ফ্লেক্স থাকে তা মূলত মৃত কোষ যাকে আমরা খুশকি বলে চিনি। মেডিক্যালি এই রোগকে সেবোরিয়া বলে। যাদের অতিরিক্ত খুশকির সমস্যা থাকে তাদের স্ক্যাল্প ইচিনেস বা চুলকানি হয়, স্ক্যাল্প খুবই ড্রাই হওয়ার কারণে এমনটা হতে পারে। আবার স্ক্যাল্পে লাল লাল ছোপও দেখতে পাবেন। টিনএইজ থেকে মধ্যবয়স পর্যন্ত এই সমস্যাটা বেশি দেখা যায়।
খুশকি কেন হয়?
মূলত শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে খুশকি সমস্যা হতে পারে। তাছাড়াও মানসিক চাপ, শারিরীক চাপ, ভুল প্রোডাক্ট ব্যবহারও ড্যান্ড্রাফের কারণ হয়ে উঠতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্ক্যাল্পের তেল অথবা সেবামে ফাংগাসের সংক্রমণেও এমনটা হয়ে থাকে। আমাদের স্ক্যাল্পে ম্যালাসেজিয়া নামক ফাংগাস বাস করে। সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে উৎপ্নন সেবামই এদের বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এরা আমাদের স্ক্যাল্পের কোনো ক্ষতিই করে না। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এদের সাথে ইমিউন সিস্টেম ওভাররিয়্যাক্ট করে, যার ফলে স্ক্যাল্পে চুলকানি হয় এবং অতিরিক্ত কোষ জন্ম নেয়। এই অতিরিক্ত কোষগুলো মরে ঝরে পড়ে, সেবামের সাথে মিশে স্ক্যাল্পে খুশকি তৈরি করে।
এছাড়াও অন্যান্য কিছু কারন রয়েছে। যেমন:
১. রুম টেম্পারেচার এর তারতম্যের কারণে খুশকি হতে পারে। ওভারহিটেড রুম বা খুবই লো টেম্পারেচার স্কিনকে কনফিউজড করে দেয়
২. চুল নিয়মিত না আঁচড়ানো
৩. নিয়মিত শ্যাম্পু না করা
৪. হরমোনাল চেইঞ্জ
৫. মানষিক চাপ ইত্যাদি।